মুরা প্লাস ভেট
লাইসোজাইস, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, এল-কার্নিটিন, সোডিয়াম সেলেনাইট, সরবিটল, গ্যালাকটো-ওলিগোস্যাকারাইডস, বিটা ১, ৩ ডি গ্লুকান, বিটেইন এবং অ্যানিসিভ অয়েল
উপাদান
প্রতি গ্রাম এ রয়েছে লাইসোজাইম ৩০০ মি. গ্রা., ভিটামিন ই ৩ মি. গ্রা., ভিটামিন সি ২ মি. গ্রা., এল-কার্নিটিন ১ মি. গ্রা., সোডিয়াম সেলেনাইট ০.৫ মি. গ্রা., সরবিটল ১ মি. গ্রা., গ্যালাকটো-ওলিগোস্যাকারাইডস ০.৫ মি. গ্রা., বিটা ১, ০ ডি গ্লুকান ০.৫ মি. গ্রা., বিটেইন ০.৫ মি. গ্রা., অ্যানিসিড অয়েল ০.৫ মি. গ্রা. এবং ডেক্সট্রোজ ক্যারিয়ার ১ গ্রাম পর্যন্ত।
ফার্মাকোলজি
লাইসোজাইম: এটি মুরামিডেজ নামেও পরিচিত, যা একটি এনজাইম ও প্রাকৃতিকভাবে অনেক প্রাণিদেহে পাওয়া যায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী গুণ রয়েছে। এটি ওমঅ নিঃসরণ উন্নীতকরণে সহায়তা করে ও ম্যাক্রোফেজ সক্রিয়করনের মাধ্যমে জীবাণুনাশে সহায়তা করে। এটি কার্যকরভাবে ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের পেপ্টাইডোগঞ্জ াইকেন স্তরকে ভেঙ্গে ফেলে ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত করে। ভিটামিন ই: এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। ইহা বিষাক্ত ফ্রি রেডিক্যাল তৈরী এবং শরীরের অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের জারনে বাধা দেয়। ভিটামিন সি: এটি যে কোন ধরনের ধকল (তাপজনিত ধকল, পরিবহণ, টিকা প্রদানের সময় ধকল ও রোগের সময় ধকল) প্রতিরোধ করে এবং কোলাজেন ফাইবার সংশ্লেষণের মাধ্যমে ক্ষত নিরাময় করতে সহায়তা করে। এল-কার্নিটিন: এটি বিপাকীয় শক্তি উৎপাদন, কোষ প্রাচীর সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। সোডিয়াম সেলেনাইট: এটি গরু টাখিওন পারঅক্সিডেজ এনজাইম এর একটি উপাদান, যা অক্সিডাইজিং এজেন্ট, যেমন- ফ্রি রেডিক্যাল এবং জারনকৃত অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড দ্বারা কোষকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ,মিকা পালন করে। সরবিটল; এটি খাবার শোষণ ও অস্ত্রের সুস্থতা উন্নীত করে। এছাড়াও সরবিটল সিক্রেটিন ও কলিসিস্টোকাইনিন হরমোন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে, যা পিত্ত ও পিত্ত লবণ নিঃসরণে সহায়তা করে। কলিসিস্টোকাইনিন প্যানক্রিয়েটিক এনজাইম অ্যামাইলেজ ও লাইপেজ নিঃসরণে সহায়তা করে। সরবিটল যকৃতের বিষক্রিয়া দূর করতে এবং যকৃত সুরক্ষাকারী ও কোষের অসমোরেগুলেটর হিসেবে কাজ করে। গ্যালাকটো-ওলিগোস্যাকারাইডস এবং বিটা ১, ৩ ডি গরু কান: এগুলে অন্ত্রের উপকারী অনুজীবের সংখা বৃদ্ধির মাধ্যমে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিটেইন: ধকলরোধী ও খাদ্য রুপান্তর হার উন্নীত করে। অ্যানিসিড অয়েল: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
নির্দেশনা
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়ক, বাচ্চা মুরগির রোগাক্রান্ত ও মৃত্যুহার হ্রাসে সহায়তা করে, ধকল ও হঠাৎ মৃত্যু প্রতিরোধে সহায়তা করে, খাদ্য রূপান্তর হার উন্নীত ও বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
প্রয়োগমাত্রা ও প্রয়োগবিধি
শুধুমাত্র পোল্ট্রিখাদ্যে/পশুখাদ্যে ব্যবহারের জন্য।
ঔষধের প্রয়োগ পথ:
শুধুমাত্র মুখে খাওয়ানোর জন্য।
ব্রয়লার/টার্কি
খাদ্যে: ১-১.৫ গ্রাম/১০ কেজি খাদ্যে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
খাবার পানিতে: ১-২ গ্রাম/১-১.৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
ডিম পাড়া মুরগি ও ব্রিডার
খাদ্যে: ০.৫-১ গ্রাম/১০ কেজি খাদ্যে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
খাবার পানিতে: ১-১.৫ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
ব্রুডিং
খাবার পানিতে: ০.৫-১ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে।
গরু, বাছুর, ছাগল ও ভেড়া
১-৩ গ্রাম/১০ কেজি দৈহিক ওজন হিসেবে।
এন্টিবায়োটিক চলাকালীন, টিকা প্রদানের সময় এবং ধকল প্রতিরোধে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার্য।
অথবা, রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার্য।
মাছ ও চিংড়ি: ১৫০-২০০ গ্রাম মুরা প্লাস ভেট প্রয়োজন অনুযায়ী পানিতে মিশিয়ে ১০০০ কেজি খাদ্যে স্প্রে করতে হবে।
অথবা, মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার্য।
ঔষধের মিথস্ক্রিয়া
ঔষধের সাথে: নাই।
খাবার ও অন্যান্যের সাথে: নাই।
গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী পশুতে ব্যবহার
অনুমোদিত মাত্রায় ইহা গর্ভবতী, দুগ্ধবতী পশু ও ডিম পাড়া মুরগিতে ব্যবহার নিরাপদ।
সতর্কতা ও সাবধানতা
নেই।
মাত্রাধিক্য
লাইসোজাইম একটি প্রাকৃতিক এনজাইম ও মাত্রাধিক্যে কোন ঝুঁকি জানা যায়নি।
প্রত্যাহারকাল
মাংস, দুধ ও ডিম- ০ (শূন্য) দিন। মাছ ও চিংড়ি-০ (শূন্য) দিন।
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে, ৩০° সে তাপমাত্রার নিচে ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মোড়কজাতকরণ
প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ১০×১০ গ্রাম ও ১০×১০০ গ্রাম স্যাশেট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন